পীরগঞ্জ উপজেলা :
রংপুর শহর থেকে প্রায় ৪০ কি: মি: দূরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধার ঘেষে মনোরম পরিবেশে পীরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। অনেক পীর, দরবেশ এবং মধ্যযুগের কবি হেয়াত মামুদের স্মৃতি বিজড়িত পীরগঞ্জ উপজেলা। ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর জেলা যে ২১টি থানা নিয়ে গঠিত ছিল পীরগঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম। ১৮৭১ হতে ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর পীরগঞ্জ থানার আয়তন ছিল ১৩০ বর্গমাইল। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে আদমশুমারীতে পীরগঞ্জ উপজেলার আয়তন ছিল ১৫৪ বর্গমাইল। বর্তমানে এ উপজেলার আয়তন ৪০৯.৩৭ বর্গ কি:মি:।
পীরগঞ্জ উপজেলার নামকরণ :
কথিত আছে যে, অতীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য একদল পীর এখানে আগমন করেন ও আস্তানা গড়ে তোলেন। তাদের আস্তানাকে কেন্দ্র করে গঞ্জ (বাজার) গড়ে ওঠে। এ থেকে এ স্থানের নাম হয় পীরগঞ্জ। জনশ্রুতি বা কিংবদন্তি ইতিহাসের উপকরন নয়, তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কোন স্থানের নামের উৎস খোজার জন্য কোন না কোনভাবে জনশ্রুতির উপর নির্ভর করতে হয়। পীরগঞ্জ নামের এ উৎসের ঐতিহাসিক ভিত্তি কতটুকু তা নিশ্চিত না হলেও এটা সত্য যে, পীরের বাজার বা গঞ্জের সাথে পীরগঞ্জ নামের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনায় লক্ষ্য করা যায় পঞ্চাদশ শতাব্দীতে (১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রিষ্টাব্দ)এ এলাকায় শাহ ইসমাইল গাজী (রহ:) অবস্থান করেছেন। তিনি একজন সেনাপতি, পীর এবং প্রচারক ছিলেন। তার সংগে অনেক পীর, আউলিয়া পীরগঞ্জে আগমন করেন ও তার সাথে অবস্থান করেন এবং তিনি সুলতান রোকনউদ্দিন বারবাক শাহের আদেশে নিহত হন। তার শিষ্যরা আজকের পীরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছেন-যা ইতিহাস দ্বারা সমর্থিত। সুতরাং পীর ও আউলিয়াদের আগমন ও বসবাসকে কেন্দ্র করে পীরগঞ্জ নামের উৎপত্তি ঘটেছে-যা সহজেই বিশ্বাসযোগ্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস