নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বিভিন্ন নদী-নদী তাদের শাখা প্রশাখাসহ জালের ন্যায় বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলাতেও অনেক নদী ও এর শাখা প্রশাখা রয়েছে। যে সকল নদী পীরগঞ্জের বুক জুড়ে প্রবাহ মান সেগুলো হলো আখিরা নলেয়া, শান ও করতোয়া।
আখিরা নদী :
আখিরা নদী ধারন করেই পীরগঞ্জ উপজেলায় এ নদীটির প্রবেশ করে ৮নং রায়পুর ইউনিয়নের বড় বিলা নামক বিলে মিলিত হয়ে এটি তার নামের নিজস্বতা হাড়িয়ে ফেলে। অত:পর ১৩নং রামনাথপুর ইউনিয়নের বটের হাট নাম স্থানে আবারো আখিরা নাম ধারন করে করতোয়া নদীতে মিলিত হয়েছে। মুলত এ নদীটি পীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং বড়দরগাহ্ ৪নং কুমেদপুর ৮নং রায়পুর ইউনিয়ন ১৩নং রামনাথপুর ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়ন হয়ে করতোয়া নদীতে মিলিত হয়েছে। অতিথিতে এ নদীটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করলেও কালের বিবর্তনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব নেই বললেই চলে। এ নদীতে পাবদা,পুটি,টাকিসহ প্রায় সকল প্রজাতির দেশী মাছ উৎপান্ন হয়ে থাকে। যা এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের ঘাটতি পুরনসহ প্রচুর মানুষের জীবিকার সন্ধান দিয়েছে। এটি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি পর্যটনের ক্ষেত্রেও একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার ঈংগিত বহন করে চলেছে। সেচ মৌসুমে কৃষি প্রধান পীরগঞ্জের মানুষের সেচের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি এটি মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কাজের সংগী হয়ে আজও তার সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
নলেয়া নদী :
আখীরা নদীর ন্যায় নলেয়া নদীও কালের সাক্ষী হয়ে পীরগঞ্জ উপজেলায় নিরবে বয়ে চলেছে। এ নদীটি পীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং শানেরহাট ইউনিয়ন ১১নং পাচগাছী ইউনিয়ন ১২নং মিঠিপুর ইউনিয়ন ও ১৩নং রামনাথপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় প্রবেশ করেছে। এ নদীটিও অতিতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও বর্তমানে এটি তার গুরুত্ব হাড়িয়েছে। এ নদীটি পুটি মাছের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও টাকি,চিড়তা, ওড়া, চিংড়িসহ অন্যান্য অনেক প্রজাতির দেশী মাছ এ নদীতে উৎপন্ন হয়। আমিষের চাহিদা পুরন সেচ সুবিধা প্রদানসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবন জীবিকাই এর ভুমিকা অনস্বীকার্য।
করতোয়া :
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে করতোয়া নদী রংপুর জেলার পীরগঞ্জে প্রবেশ করেছে। ১নং চৈত্রকোল ৬নং টুকুরিয়া ৭নং বড়আলমপুর ১৪নং চতরা ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পলাশ বাড়ীতে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতীর সুস্বাদু মাছের জন্য এ নদী বিখ্যাত। পরতী মাছ মুষা মাছ আখরা আইড় মাছ, বোয়াল,গজার, এখানকার বিখ্যাত মাছ।এ নদীটির আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সেচ মৌসুমে জলধার হিসাবে, গরীব মানুষের আমিষের উৎস হিসাবে, প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এটি যুগযুগ ধরে অনন্য অবদান রেখে চলেছে।
মরা নদী :
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১নং চৈত্রকোল গ্রামের একটি জলাশয় থেকে উল্লেখিত নদীটি উৎপত্তি হয়ে সর্পিল গতিতে বয়ে গেছে আটিয়া বাড়ী গ্রামে পড়ে এটি গন্ধর্ব পুকুর কোমরসাই, কাদিরাবাদের মধ্যে দিয়ে প্রভাহিত হয়ে মোনাইল গ্রামের পশ্চিমে সুজার কুটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে করতোয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ইহা ছাড়াও কুয়াতপুর হামিদপুর গ্রাম সংলগ্ন করতোয়া নদী থেকে সোনাতলা-চতরা হাটের পশ্চিম পার্শ্ব দিয়া আর একটি মড়া মচ্ছ নদী টোংড়ারদহ হয়ে করতোয়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস